সপ্তাহের সাতদিন তাদের বিভিন্ন নামে পরিচিত। হাজার হাজার বছর আগে মানুষ জানত, শুধু মাস, কিন্তু সংসারের নানা কাজের জন্য দেখা গেল যে, কেবলমাত্র মাসের হিসেবে চলা সম্ভব নয়। তখন পাঁচ দিনের বা দশ দিনের একটা হিসেব তৈরি করা হলো। তবে দেখা গেল, যেহেতু এক পক্ষকাল চৌদ্দ দিনে হয়, তখন সাত দিনের একটা হিসেবের প্রয়োজন দেখা দিল। পুরানো দিনে ব্যাবিলন, মিশর এইসব প্রাচীন সভ্যতায় সাত দিনের একটা সপ্তাহ ধরে কাজ চালানো হত।
মিশরে পাঁচটি গ্রহের আর চাঁদ ও সূর্যের নামে সাত দিনের নাম দেওয়া হয়েছিল। যেমন-রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনি। রোমানরাও এই একই নিয়ম চালু করেছিল।
পাশ্চাত্য সভ্যতায় নিয়ম না পাল্টালেও ইংরেজ সমাজে নাম দেওয়া হয়, নরওয়ের পৌরাণিক দেব-দেবীর নাম অনুযায়ী আর অন্যান্য দেশে গ্রহের নাম প্রায় অবিকৃত রাখা হয়।
ইংরেজ সমাজের এ্যাংলো-স্যাক্সন নামগুলো শোনা যাক-সুন্নানড্যাগ (Sunnandaeg)-রবিবার; মোনানড্যাগ (Monandaeg) সোমবার; তিবেসড্যাগ (Tiwesdaeg) মঙ্গলবার; বোদেনড্যাগ (Wodendaeg) বুধবার; তরত্যাগ (Thondaeg) বৃহস্পতিবার: ফ্রিগাড্যাগ (Freggadaeg) শুক্রবার; স্যাতরণড্যাগ (Saeterndaeg) শনিবার।
কোনো এক সময় দিন বলতে বোঝাত, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত। কিন্তু রোমান সভ্যতায় মধ্যরাত্রি থেকে মধ্যরাত্রি পর্যন্ত হত এক দিনের হিসেব। পশ্চিমী দুনিয়ায় এখনও এই নিয়ম চলে আসছে আর সেই সঙ্গে সারা দুনিয়াতেও। একটা মজার ব্যাপার জেনে রাখ, ভারতবর্ষে সপ্তাহের দিনের নাম ছিল না, কেননা সপ্তাহই হতো না। অরুপক্ষ আর কৃষ্ণপক্ষ, তার সঙ্গে তিথি । আর তিনি দিয়েই মাসের সব দিনের হিসেব ভারতে রাখা হতো।
Leave a Comment