প্রায়ই দেখা যায়, কেউ কেউ ঘুমিয়ে নাক ডাকায়। তাদের মুখগুলো খোলা


থাকে এবং নিশ্বাস-প্রশ্বাসের সময় এক অদ্ভুত শব্দ বেরিয়ে আসে। তোমরা কি জানো কেন এই রকম নাক ডাকে? স্বাভাবিক অবস্থায় মানুষ নাক দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস চালায়। কিন্তু কারও কারও নাক কোনো কারণবশত বন্ধ থাকে। ফলে তারা মুখ দিয়ে শ্বাস- প্রশ্বাস গ্রহণ ও বর্জন করে। এই ধরনের লোকদেরই ঘুমন্ত অবস্থায় নাক


ডাকে।


যখন আমরা ঘুমিয়ে পড়ি এবং মুখ দিয়ে শ্বাস গ্রহণ ও বর্জন করি তখন যে বাতাস বেরিয়ে আসে, তা আমাদের নরম তালুকে সামনে-পিছনে আন্দোলিত করে। এর ফলে এক অদ্ভুত শব্দ উৎপন্ন হয়। একেই আমরা নাসিকা গর্জন বা নাক ডাকা বলি। এই কম্পন বা আন্দোলন গাল, ঠোঁট এবং নাসারন্ধ্রকেও কাঁপিয়ে তোলে। এর ফলে উৎপন্ন শব্দ আরও জোরালো হয়। জেগে থাকলে তালু বেশ শক্তভাবে থাকে বলে এই রকম কোনো শব্দ উৎপন্ন হয় না ।


ঘুমানোর আগে যদি আমরা আমাদের নাক ও মুখ পরিষ্কার করি, তা হলে নাক ডাকা কিছুটা দমিত হয়। এতে মুখ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের চাইতে নাক দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে। কেউ যদি নাক দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের অভ্যাস চর্চা করে, তাহলে তার নাক ডাকার সম্ভাবনা কম থাকে।


মুখ দিয়ে শ্বাস গ্রহণ ও বর্জন স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। রোগজীবাণু এতে সহজেই মুখের ভিতর প্রবেশ করে রোগ-ব্যাধির সৃষ্টি করতে পারে। নাক দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস চালালে নাকের ভিতরের লোম রোগের জীবাণুকে শরীরের ভিতরে ঢুকতে দেয় না। সুতরাং নাক দিয়েই শ্বাস-প্রশ্বাসের অভ্যাস গড়ে তোলা বিধেয়।



Leave a Comment