যুক্তরাষ্ট্রের (USA) নেভাডা (Nevada) সীমান্তের নিকটস্থ দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় 'ডেথ ভ্যালি' ন্যাশনাল মনুমেন্ট (Death Valley National Momument) অবস্থিত। লম্বায় উপত্যকাটি প্রায় ২২৫ কিলোমিটার আর চওড়ায় ৮ থেকে ২৪ কিলোমিটার। উত্তর আমেরিকার সব থেকে উষ্ণ ও শুকনো জায়গা এটি।
পশ্চিম গোলার্ধের (Western Hemispgere) সব থেকে শুকনো নিম্নভূমিও এটি। সমুদ্র সমতল থেকে জায়গাটি ৮৬ মিটার নিচে। এখানকার তাপমাত্রা কখনও কখনও ৪৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে পৌছায়। এইজন্য বৃষ্টিপাতও খুব কম হয়। বাৎসরিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাত্র ৫ সেন্টিমিটার। জায়গাটির বিভিন্ন স্থানে যে যৎসামান্য জলাশয়ের সৃষ্টি হয় তাও ভীষণ লবণাক্ত। প্রচণ্ড তাপমাত্রার জন্য জায়গাটির কোথাও সামান্য তৃণও জন্মাতে পারে না। সমগ্র উপত্যকাটি বালুতে পরিপূর্ণ। রূঢ়-নীরস অবস্থার জন্য এখানে মানুষের বসবাস প্রায় একেবারেই অসম্ভব। আমেরিকায় নবাবিষ্কৃত স্বর্ণ সন্ধানীদের অনুধাবনকালে ( Gold rush of America) স্বর্ণ সন্ধানীদেরকে এই উপত্যকা পার হয়ে যেতে হত। উপত্যকাটি পার হতে গিয়ে তাদের অনেকেই তৃষ্ণায় ও ক্লান্তিতে প্রাণ হারায়। এই প্রাণ হারানোর জন্য উপত্যকাটি ‘মৃত্যু উপত্যকা' বা 'ডেথ ভ্যালি' (Death Valley) বলে পরিচিত হয়।
১৮৭০-এর দশকে যখন এর নিকটবর্তী পাহাড়ে স্বর্ণখনি আবিষ্কৃত হয় তখন অগ্রগামী যাত্রীদের ফেলে যাওয়া অসংখ্য মৃত জীবজন্তুর কঙ্কাল মৃত্যু উপত্যকায় পৌঁছানোর এক পদাঙ্ক চিহ্নিত করে (Death Valley trail)।
১৯৩৩ সালে জায়গাটিকে 'জাতীয় স্মৃতিস্থান' (National Monument) বলে ঘোষণা করা হয়। এখন প্রতিবছর প্রায় ৫ লক্ষ (Half-a million) লোক জায়গাটি পরিদর্শন করতে যায়। যদিও সমগ্র উপত্যকাটি প্রায় মরুভূমির মতো তবুও কিছু কিছু প্রাণী যেমন-খরগোশ, কাঠবিড়ালী (Squirrels) ক্যাঙারু ইঁদুর (Kangaroo rats) প্রভৃতি দেখতে পাওয়া যায়। ১৮৯০ সালের এক জরিপ থেকে বলা হয় যে, প্রায় ৭৮ প্রকার পাখি ও জীব-জন্তু উপত্যকাটিতে বর্তমান ।
Leave a Comment