আজকের দিনে পৃথিবীর সকল দেশেই বিবাহ-প্রথা ব্যাপকভাবে বিদ্যমান । মানবেতিহাস থেকে তিন ধরনের বিয়ের কথা জানা যায়। প্রথমত, সেই গুহাবাসী আদিম মানুষের বিয়ে যেখানে পুরুষ তার কামনার নারীকে জোরকরে তার নিজের গুহায় ধরে নিয়ে যেত। দ্বিতীয় ধরনের বিয়ে ছিল যোগাযোগ (Contact) অথবা কেনাবেচার মাধ্যমে। এই ধরনের বিয়েতে টাকা-কড়ি, গরু-ঘোড়ার বিনিময়ে কনেকে তার পরিবার থেকে কিনে নেওয়া হতো। তৃতীয় শ্রেণির বিয়ে হলো, আবেগময় সামাজিক এক পবিত্র বন্ধন যা আজ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই প্রচলিত ।


বিয়ে, প্রকৃতপক্ষে সামাজিক এক প্রথা যা স্বামী-স্ত্রীর উভয়কে- একদিকে সামাজিক নিরাপত্তা, অন্যদিকে তাদের আবেগানুভূতির নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন কায়দায় বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পাদিত হয়। উদাহরণস্বরূপ-খ্রিস্টানদের বিবাহ অনুষ্ঠিত হয় গির্জায় (Church) আর হিন্দুদের বিবাহ অনুষ্ঠিত হয় আগুনকে সামনে রেখে। আংটি পরানোর অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশি বিয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আংটির আকার গোল হওয়ায় তা পরিপূর্ণতার এক প্রতীকরূপে গণ্য হয় ।


বিবাহ অনুষ্ঠানের পর বর ও কনেকে স্বামী-স্ত্রী বলে ঘোষণা করা হয়। বিবাহ-বন্ধন সারাজীবন ধরে স্থায়ী হোক, এই উদ্দেশ্য নিয়েই অধিকাংশ মানুষের বিয়ে হয়। তবে কোনো কোনো সমাজে বিবাহ-বিচ্ছেদ প্রথা চালু আছে- কোথাও বা তা খুব সহজ, আবার কোথাওবা তা প্রায় অসম্ভব।



Leave a Comment