চোখ পিট পিট করা একটি স্বংয়জিনা প্রক্রিয়া। প্রায় বিরামহীনভাবে ব্যাপারটি ঘটে থাকে। চোখ পিট্ পিট্ করার কথা আমরা খুব কমই ভোবে থাকি। প্রতি ৬ সেকেন্ডে গড়পড়তা আমরা একবার করে চোখ পিট্ পিট্ করি বা পলক ফেলি। এর অর্থ হলো এই যে, আমরা আমাদের সারাজীবনে ২৫০ মিলিয়ন (২৫ কোটি) বার চোখের পলক ফেলি। তোমরা কি জানো—
কেন আমরা চোখ পিট পিট করে থাকি?
চোখ পিট পিট বা পলক ফেলার সময় চোখের পাতা উপরে-নিচে উঠা- নামা করে। চোখের উপরের পাতার নিচে অনেকগুলো অশ্রুগ্রন্থি থাকে। যখন চোখের পাতা আমরা বন্ধ করি, তখন ঐ অশ্রুগ্রন্থিগুলো সক্রিয় হয় এবং একপ্রকার লবণাক্ত তরল পদার্থ সৃষ্টি করে। এই লবণাক্ত তরল চোখকে সর্বদা ভেজা রাখে এবং চোখকে শুকিয়ে যেতে দেয় না। এই তরল পদার্থ অধিক মাত্রায় নিঃসৃত হলে তা অশ্রুতে পরিণত হয়। প্রতিদিন ০.৭৫ থেকে ১.১ গ্রাম তরল আমাদের চোখ থেকে নিঃসৃত হয় ।
চোখের পলক পড়া প্রক্রিয়াটি চোখের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থাও বটে। ধূলোবালি কিংবা অন্য কোনো অস্বাস্থ্যকর পদার্থ চোখে যখন প্রবেশ করে—তখন চোখের পিট্ পিট্ করার ফলে চোখ নিঃসৃত তরল কর্তৃক তা ধুয়ে যায়।
চোখের পিট্ পিট্ করার ব্যাপারটি চোখকে উজ্জ্বল আলোর হাত থেকে রক্ষা করে। উজ্জ্বল আলোয় চোখের পাতা আপনা থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। এবং তীব্র আলোককে চোখের অক্ষিপটে পৌছাতে দেয় না। উজ্জ্বল আলো চোখের পক্ষে ভীষণ ক্ষতিকর।
এমনি করে চোখের পিট্ পিট্ করা ঘটনাটি চোখকে ভিজে রাখে, চোখে অস্বাস্থ্যকর পদার্থের প্রবেশকে বাধা দেয় এবং উজ্জ্বল আলো থেকে চোখকে রক্ষা করে।
Leave a Comment