হরমোন আমাদের শরীরের এমন এক রাসায়নিক পদার্থ যা শরীর বর্ধন, শরীরের বিভিন্ন লক্ষণাদি প্রকাশ, প্রজননের মাধ্যমে জীবন-ধারা রক্ষা ও শরীরের রাসায়নিক রূপান্তরকে নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের শরীরে এনডকরীন (Endocrine) নামে সুস্পষ্ট ৮টি নালীহীন (Duciless) গ্রন্থি (Gland) আছে। তারা কমপক্ষে ২৫টি হরমোন আমাদের রক্ত-প্রবাহে নিঃসৃত করে। হরমোনের অভাব কিংবা তার আধিক্য শরীরে নানা অস্বাভাবিকতার সৃষ্টি করে। বহুমূত্র (Diabetes), গলগণ্ড (Goitre), শরীরের হ্রস্বতা (Dwarfism) ও বিশালতা (Giantism) হরমোনের অভাব বা তার আধিক্যহেতু হয়ে থাকে। এখন প্রশ্ন হলো- এনডকরীন গ্রন্থি কোনগুলো এবং তারা কোন কোন হরমোন তৈরি করে?


এনডকরীন গ্রন্থি হলো- একদল কোষ, যারা রক্ত থেকে কিছু কিছু পদার্থ গ্রহণ করে তাকে হরমোনে রূপান্তরিত করে। এই হরমোনগুলো মুক্ত হয়ে পরে রক্ত-প্রবাহে মিশে যায়। এনডকরীন গ্রন্থিগুলোর নাম হলো— 

(১) পিটুইটারী গ্রন্থি (Pituitary),

 (২) থাইরয়েড গ্রন্থি (Thyroid), 

(৩) প্যারা- থাইরয়েড গ্রন্থি (Parathyroid),

 (৪) থাইমাস গ্রন্থি (Thymus),

 (৫) মূত্রগ্রন্থি বা বৃক্ক (Adrenal),

 (৬) অগ্নাশয় (Pancreas), 

(৭) শুক্রাশয় (Testes) ও

 (৮) ডিম্বাশয় (Ovaries)।


(১) পিটুইটারী গ্রন্থি-মস্তিষ্কের গোড়ার দিকে এই গ্রন্থির অবস্থান। এই গ্রন্থি অনেক হরমোন তৈরি করে। তার মধ্যে একটি হরমোন শরীরের বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রিত করে থাকে। এই গ্রন্থি যদি অতিমাত্রায় ক্রিয়াশীল হয়। তাহলে তা শরীরের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। অন্যদিকে যদি এর ক্রিয়া স্বাভাবিকের চেয়ে কম হয় তাহলে তা মানুষকে বেঁটে করে তোলে ।

Leave a Comment