মেয়েদের কণ্ঠস্বর সাধারণত পুরুষের কণ্ঠস্বর থেকে মিষ্টি হয়। এমনকি এগারো-বারো বছর বয়স পর্যন্ত ছেলেদেরও মেয়েলি কণ্ঠস্বর থাকে। পরে তাদের কণ্ঠস্বর মোটা হতে শুরু করে। কিন্তু বয়স বাড়লেও মেয়েদের কণ্ঠস্বরের কোনো পরিবর্তন হয় না।




সাধারণত এগারো থেকে তেরো বছর বয়সকে যৌবন উন্মেষকাল বলে। এই সময়ে আমাদের শরীরের কিছু কিছু লালাগ্রন্থি হরমোন তৈরি করে। এই হরমোনগুলো ছেলে ও মেয়েদের শরীরে নানা পরিবর্তন ঘটায়। ছেলেদের বেলায় এই হরমোনগুলো তাদের শারীরিক বৃদ্ধি আনে। বগলের নিচে লোম, মুখে গোঁফ-দাড়ি ও নিম্নাঙ্গে যৌনকেশ দেখা দেয়। ছেলেদের কণ্ঠস্বর মোটা হতে শুরু করে। তাদের শরীর "টেস্টোসটারোন * (Testosterone) নামে এক প্রকার হরমোন তৈরি করে। এই হরমোনই ছেলেদের স্বরতন্ত্রীর বা স্বরযন্ত্রের পাতলা পর্দার (Vocal chord) দৈর্ঘ্য ও পুরুত্ব পরিবর্তনে প্রধানত দায়ী। এটা তাদের স্বরযন্ত্রকেও (Larynx) প্রভাবান্বিত করে। তার ফলে স্বরযন্ত্রে পাতলা পর্দার কম্পাঙ্ক (Frequency) পরিবর্তিত হয়ে তাদের কণ্ঠস্বরের তীক্ষ্মতার পরিবর্তন ঘটায়।




উক্ত হরমোন যদিও মেয়েদের বেলায় তৈরি হয় না, তবুও তাদের কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন সংঘটিত হয়। এই পরিবর্তনটি হয়—যখন তাদের গলা, মুখ, নাক ও উপরের চোয়ালের আরও বর্ধন ঘটে। উপরোক্ত কারণে ছেলেদের কন্ঠস্বর থেকে মেয়েদের কণ্ঠস্বর মিষ্টি শুনায়।





Leave a Comment